ইসুবগুলের ভুষি
Overview
- Category: Foods & Groceries
Description
ইসুবগুলের ভূসির উপকারিতা ঃ
*পেট ব্যাথা দূর করে। পেটের আলসারজনিত সমস্যা দূর করে পেটব্যথা দূর করে।
*পেট ঠান্ডা রাখে
*ইসুবগুলের ভূসিতে এমাইনো এসিড আছে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে সহজে মলত্যাগ হতে সাহায্য করে। দুই তিন চা চামচ ভূসি ঘুমানোর পূর্বে কুসুম গরম দুধে ১৫ মিনিট মিশিয়ে মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর করতে সহায়ক। পেটের বর্জ্য শূষে নিয়ে পেট থেকে মলদ্বারের মাধ্যমে বের করে দেয়।
*আমাশয় ও অশ্ব রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
*কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
*ডায়রিয়া দূর করতে সহায়ক। তিন চামচ টকদের সাথে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়া নিরাময়ের সাহায্য করে।
* পাইলস রোগিরা দিনে তিন থেকে চার বার এই ভূসি খেলে রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
*গ্যাস্ট্রিক, ওজন কমাতে, করোনারি হার্ট ডিজিজ সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
*খাওয়ার পর দুই চা চামচ ভূসি ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে খেলে এসিডিটি দূর করে।
**যারা বেশি রোগা তারা সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে দুধের সাথে ২ চামচ স্কুলের ভুষি মিশিয়ে খেলে খাওয়ার রুচি বাড়বে এতে তাদের শরীর তরতাজা হবে।
* যারা ওজন কমাতে চান তাদের ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে দুই চামচ ইসবগুলের ভুষি আর এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে দীর্ঘক্ষন পেট ভরা থাকে এতে এরকম কয়েকদিন করলে তাদের ওজন কমে যাবে ইনশাল্লাহ। সকালে ঘুম থেকে উঠে অথবা রাতে খাওয়ার পূর্বে খেতে হবে। এতে শরীরের চর্বি কমে।
**ইসুবগুলের ভুষি খাওয়ার ক্ষেত্রে দুটো বিষয় মনে রাখবেন। এক হল, দীর্ঘ সময় ধরে এটা ভিজিয়ে রাখবেন না। সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবেন । আর যত্রতত্র স্থান থেকে খোলা কিনে ব্যবহার করবেন না।
## কিভাবে খেতে হবে কতটুকু খেতে হবে-
ইসবগুলের ভুষি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না । কোনো বিশেষ সমস্যার কারণে খেলে সেটা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বা কবিরাজের পরামর্শ সাপেক্ষে খেতে হবে।
কোন রোগের কারণে ছেলে বা সমস্যার কারণে খেলে সে সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত খাওয়া যায় আবার সারা জীবন অল্প অল্প পরিমাণও খাওয়া যায়। এতে কোন সমস্যা নেই।
এমনিতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ও সন্ধ্যার সময় খাওয়া ভালো এতে দীর্ঘ সময় পানি পেটের মধ্যে যেতে থাকলে সেই ভুসির কার্যকারিতা বেশি থাকে।